by N_admin_1 | আগস্ট ৪, ২০২৫ ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ
ট্রলি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ এবং অফিস সহায়ক বায়েজিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার (৩ আগস্ট) হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ. কে. এম. মশিউল মুনীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অভিযোগ তদন্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে। সেই কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে।
অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম ও অফিস সহায়ক বায়েজিদ সম্পর্কে বাবা-ছেলে।
চিঠিতে বলা হয়- স্বাস্থ্যখাতে সংস্কার আন্দোলন নামে কয়েক দিন ধরে ছাত্রজনতা বরিশালে আন্দোলন করছে। শনিবার আন্দোলনকারীরা শেবাচিম হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে এই দু’জনের বিরুদ্ধে ট্রলিবাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন না করতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।
এদিকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, শেবাচিম হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. মাজহারুল রেজওয়ান, ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট ডা. ফয়সাল আহমেদ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল জলিল মিয়া। আগামী তিন দিনের মধ্যে এই তদন্ত কমিটি হাসপাতালের পরিচালক বরাবর প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রসহ একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম গত ২৫ বছর ধরে শেবাচিম হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন। এই সুযোগে তার অধীনে থাকা ৪০০ থেকে কর্মচারীর কাছ থেকে বিভিন্নভাবে অনৈতিক সুবিধা নিত বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া কর্মচারীদের পছন্দের ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিয়ে অবৈধ সুবিধা আদায়, হাসপাতালের রোগীদের কমিশনের বিনিময়ে পার্শ্ববর্তী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠানো, মরদেহের ফ্রিজ ভাড়ার সরকারি রশিদ নকল করে টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে।
আবুল কালামের ছেলে বায়েজিদ ২০১৫ সালে শেবাচিম হাসপাতালের অফিস সহায়ক পদে যোগ দেন। এরপর থেকে বাবা-ছেলে মিলে সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা রোগীদের দুর্ভোগে ফেলত বলে অভিযোগ হাসপাতাল সূত্রের।
Source URL: https://newsside24.com/?p=1705
Copyright ©2025 News Side24.com unless otherwise noted.