অনলাইন ডেক্স: রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার পর এ ঘটনা ঘটায় কিছু লোক। ঘটনাস্থলে দেখা যায়, সন্ধ্যায় বিজয়নগর থেকে গণঅধিকার পরিষদ ও পল্টন থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে জাপা কার্যালয়ের সামনে আসেন। এসময় এ উত্তেজনা দেখা দেয়।

প্রায় ১৫ মিনিটের বেশি সময় উত্তেজনার পর গণঅধিকার পরিষদের নেতারা তাদের কর্মীদের সরিয়ে নেন। এর কয়েক মিনিট পরেই কয়েকজন লোক পেছন দিয়ে এসে জাপা কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। পরে সামনে ভাঙচুর করে ভেতরে প্রবেশ করে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়৷ কার্যালয় থেকে চেয়ার-টেবিল বের করে বাইরেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তখন তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও জলকামান নিক্ষেপ শুরু করে। পানি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে

এর আগে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিকেলে বিজয় নগরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন দলের নেতা-কর্মীরা। পরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, মৎস্যভবন, কাকরাইল হয়ে নাইটেঙ্গেল মোড় দিয়ে বিজয় নগরের দিকে আসে।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গণধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুইপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলপ্রয়োগ করে। গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে লাঠিচার্জে দলটির নেতা নুরুল হক নুর এবং দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত হওয়ায় নুরকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।

সাবেক সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের আমলে অনুষ্ঠিত সব বিতর্কিত নির্বাচনেই অংশ নিয়েছে। নজিরবিহীনভাবে তারা যেমন সংসদের বিরোধীদল ছিল, তেমনি অংশ নিয়েছে সরকারের মন্ত্রিসভায়ও। গণঅধিকার পরিষদসহ কিছু রাজনৈতিক দলের দাবি, ফ্যাসিবাদী শাসনকে বৈধতা দেওয়ার ক্ষেত্রে জাপা সহযোগীর ভূমিকায় ছিল। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের পাশাপাশি জাপারও কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

Print this entry

 

হোসাইন আমির, কুয়াকাটা প্রতিনিধি:  বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানা ৪ মাসে খাল বিল পানি তে থৈ থৈ করে আর দেশীয় মাছগুলি লুকিয়ে থাকা বিভিন্ন পুকুর খাল ও ডোবানালা থেকে বেরিয়ে আসে। এসব বিভিন্ন প্রজাতির মাছগুলোর আবার প্রজনন মৌসুম শুরু হয়। সেই থেকে শুরু হয় মাছখেকো নামে ঘোন ফাঁসের মাশারী চায়না দুয়ারী জাল দিয়ে দেশীয় মাছের ধ্বংসযজ্ঞ।

কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকের ক্ষেত খামার নিচু জমি ও পানির স্রোত আসা-যাওয়া করে এমন জায়গায় পুঁতে রাখে ওইসব অবৈধ জাল। এক যুগ আগেও যেখানে দেশীয় ও মাছের সয়লাব ছিল আর বর্তমানে দেশীয় মাছের শব্দটি ভুলে যেতে বসেছে এলাকাবাসী । কই,টাকি, পুঁটি,বাইলা,বাইন,শোউল, বোয়াল,মাগুর, সিংসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধ্বংস হচ্ছে দুয়ারী জাল দিয়ে তেমন কৃষকের ক্ষেতে দেওয়া কীটনাশক ওষুধে মারা যাচ্ছে দেশীয় মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় মৎস্য খাত। মাঝে মধ্যে প্রশাসন এ বিষয়ে ভূমিকা রাখলেও তেমন কোন নজরদারী নাই বলেই চলে।

কুয়াকাটার নবিনপুর বাসিন্দা কৃষক ফারুক বলেন, যখন থেকে ক্ষেতে সার ঔষধ ব্যবহার করা হচ্ছে তখন থেকেই এইসব দেশীয় মাছ মারা যাচ্ছে। যেসব মাছ বেঁচে থাকে সেগুলোও দুয়ারী মশারি জাল এবং খালে আটোন ও ধর্মজাল পুঁতে রেখে মাছ ধরেন অসধু ব্যক্তিরা। আমাদের এই খালে বিলে কত মাছ থাকতো একটি সময় নিজেরা ধরে খেতাম এবং বিক্রি করতাম এখন সেই দিনগুলি আর পাওয়া যাচ্ছে না।


কুয়াকাটার মৎস বাজারের আড়ৎদার আফজাল মোল্লা বলেন, আমার ব্যবসায়ী বয়স ১ যুগ। শুরুতে যেসব দেশীয় মাছ প্রতিদিন আমার আড়ৎতে আসতো তার দশভাগের এক ভাগও আসে না কারণ মাছ গুলো হারিয়ে গেছে ।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ইয়াসিন সাদেক বলেন কলাপাড়া উপজেলা ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের চায়না দুয়ারী জাল আটন মশারি ধর্মজালসহ বিভিন্ন অবৈধ জালের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং মৎস্য আইনে বিভিন্ন সময় জরিমানা করে জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ও বর্তমানে এই অবৈধ জলের উপরে অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোন ছাড় দেওয়া হবে না।

Print this entry