TT Ads
Spread the love

 

হোসাইন আমির, কুয়াকাটা প্রতিনিধি:  বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানা ৪ মাসে খাল বিল পানি তে থৈ থৈ করে আর দেশীয় মাছগুলি লুকিয়ে থাকা বিভিন্ন পুকুর খাল ও ডোবানালা থেকে বেরিয়ে আসে। এসব বিভিন্ন প্রজাতির মাছগুলোর আবার প্রজনন মৌসুম শুরু হয়। সেই থেকে শুরু হয় মাছখেকো নামে ঘোন ফাঁসের মাশারী চায়না দুয়ারী জাল দিয়ে দেশীয় মাছের ধ্বংসযজ্ঞ।

কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকের ক্ষেত খামার নিচু জমি ও পানির স্রোত আসা-যাওয়া করে এমন জায়গায় পুঁতে রাখে ওইসব অবৈধ জাল। এক যুগ আগেও যেখানে দেশীয় ও মাছের সয়লাব ছিল আর বর্তমানে দেশীয় মাছের শব্দটি ভুলে যেতে বসেছে এলাকাবাসী । কই,টাকি, পুঁটি,বাইলা,বাইন,শোউল, বোয়াল,মাগুর, সিংসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধ্বংস হচ্ছে দুয়ারী জাল দিয়ে তেমন কৃষকের ক্ষেতে দেওয়া কীটনাশক ওষুধে মারা যাচ্ছে দেশীয় মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় মৎস্য খাত। মাঝে মধ্যে প্রশাসন এ বিষয়ে ভূমিকা রাখলেও তেমন কোন নজরদারী নাই বলেই চলে।

কুয়াকাটার নবিনপুর বাসিন্দা কৃষক ফারুক বলেন, যখন থেকে ক্ষেতে সার ঔষধ ব্যবহার করা হচ্ছে তখন থেকেই এইসব দেশীয় মাছ মারা যাচ্ছে। যেসব মাছ বেঁচে থাকে সেগুলোও দুয়ারী মশারি জাল এবং খালে আটোন ও ধর্মজাল পুঁতে রেখে মাছ ধরেন অসধু ব্যক্তিরা। আমাদের এই খালে বিলে কত মাছ থাকতো একটি সময় নিজেরা ধরে খেতাম এবং বিক্রি করতাম এখন সেই দিনগুলি আর পাওয়া যাচ্ছে না।


কুয়াকাটার মৎস বাজারের আড়ৎদার আফজাল মোল্লা বলেন, আমার ব্যবসায়ী বয়স ১ যুগ। শুরুতে যেসব দেশীয় মাছ প্রতিদিন আমার আড়ৎতে আসতো তার দশভাগের এক ভাগও আসে না কারণ মাছ গুলো হারিয়ে গেছে ।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ইয়াসিন সাদেক বলেন কলাপাড়া উপজেলা ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের চায়না দুয়ারী জাল আটন মশারি ধর্মজালসহ বিভিন্ন অবৈধ জালের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং মৎস্য আইনে বিভিন্ন সময় জরিমানা করে জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ও বর্তমানে এই অবৈধ জলের উপরে অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোন ছাড় দেওয়া হবে না।

Print this entry

TT Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *