রবিউল ইসলাম রবি ॥ প্রতিপক্ষের দায়েরকৃত হত্যা মামলায় স্বামী সহ দুই সন্তান জেলহাজতে থাকা অবস্থায় নিজ বসতঘরে মৃত্যুবরণ করেন বরিশাল মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বোয়ালিয়া গ্রামের বেপারী বাড়ির রেশমা বেগম। এ মৃত্যুর ঘটনায় মুলাদী থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়। জেল থেকে মরহুমার স্বামী আবদুল লতিফ জামিনে বেড়িয়ে স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বরিশাল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুলাদী আমলী আদালতে নামধারি ১০ জনকে আসামি করে এ হত্যা মামলা নং (সি আর ৩৬৫/২৫ মুলাদী) দায়ের করা হয়। আদালতের বিচারক মামলা আমলে নিয়ে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে অপমৃত্যুর মামলার নথিপত্র তলব এর নির্দেশ দিয়ে পরবর্তীতে আগামী ২৪/০৯/২০২৫ তারিখ শুনানির দিন ধার্য করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসের।

দায়েরকৃত মামলার আসামিরা হলেন- পশ্চিম বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত ক্বারী মোসলেম আকনের দুই ছেলে আবু হানিফ আকন (৫০) ও মোঃ ইমরান আকন (৩৫), মোঃ ইমরান আকনের স্ত্রী মোসাঃ তানিয়া (২৭), গয়েজ উদ্দিন সরদারের ছেলে মোশারেফ সরদার (৫৮), মৃত মোসলেম সিকদারের ছেলে মন্টু সিকদার (৫৫), রাজ্জাক বেপারীর ছেলে মিজান বেপারী (৪০), নদাই বেপারীর ছেলে শাহে আলম বেপারী (৫৯), মৃত ফরিদ উদ্দিন হাং এর ছেলে মুরাদ হাং (৫০), মৃত হোসেন বেপারীর ছেলে কালাম বেপারী (৬৫) ও কালাম বেপারীর ছেলে সাইফুল বেপারী (৩৫) সহ অজ্ঞাত আরো আসামি থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়।

এজাহারের বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে, আসামিদের সাথে আমাদের জমি-জমাসহ নিয়ে বিরোধ চলমান রয়েছে। দায়েরকৃত মামলার ৬ নং সাক্ষী শাহিনা বেগমের স্বামী জাকির হোসেনের মৃত্যুর কারণে আমাদেরকে অর্থাৎ আমি (বাদী) ও আমার স্ত্রী মৃত রেশমা বেগম সহ দুই ছেলে সুমন ও সোবহানকে আসামি করে মৃত জাকির হোসেনের ভাই মো. ইমরান আকনের স্ত্রী মোসা: তানিয়া বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আমরা সব আসামি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পাই। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হলে আদালতের বিচারক আমার স্ত্রী রেশমা বেগমের জামিন মঞ্জুর করলেও আমি (বাদী) ও আমার দুই ছেলের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে রেশমা বেগম বাড়িতে যায়। আসামীরা তার কাছে টাকা দাবি করে এবং বিভিন্নভাবে খারাপ আচরণ করে এবং হত্যার হুমকি দেয়।

এরই ধারাবাহিকতায় আসামীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রেশমাকে গত ৩০/০৮/২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ১২ টা থেকে ৩১/০৮/২০২৫ তারিখ সকাল ৬ টার মধ্যে হত্যার পর প্রমাণ নষ্ট করার জন্য হত্যার ধরণ ঘুরিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়া দেওয়ার চেষ্টা করে। জেলে বসে রেশমার মৃত্যুর খবর জানতে পারে আমি (বাদী) ও আমার দুই ছেলে।

আদালত থেকে আমরা গত ৩১/০৮/২৫ তারিখে জামিন মুক্তি পেয়ে বাড়িতে গিয়ে ঘটনা জেনে আমি (বাদী) থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। থানা পুলিশ জানায়, রেশমার মৃত্যুতে থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।

Print this entry

 

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
মহিপুর প্রেসক্লাবের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবে এক বিশেষ সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিতে আগামী ১ বছরের জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এটিএন বাংলা ও দৈনিক রুপান্তর পত্রিকার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম রিপন। এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন গ্লোবাল টেলিভিশন’র কলাপাড়া প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান আকাশ।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: ওহাব হাওলাদার (ভোরের আলো), সহ-সভাপতি রাসের কবির মুরাদ (সাগরকুল) ,সহ-সাধারণ সম্পাদক রেহান উদ্দিন রেহান ( বাংলাদেশ বুলেটিন), সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিএ সুমন ( দৈনিক নবচেতনা), প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান মাসুদ (দৈনিক সকাল), অর্থ সম্পাদক পলাশ সরকার ( দক্ষিনাঞ্চল) এছাড়াও কার্যনিবাহী সম্পাদক হাব্বিবুল্লাহ খান রাব্বি ( দৈনিক সংবাদ) ,মো.মাহাতাব উদ্দিন ( বাংলাদেশ বানী), মো.মনিরুজ্জামান হাওলাদার( নিভূল বার্তা)।

কমিটি গঠনের পূর্বে প্রেসক্লাবের বিদায়ী সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক হাব্বিবুল্লাহ খান রাব্বির সভাপতিত্বে একটি বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রেসক্লাবের সকল সাধারণ সদস্য উপস্থিত হয়ে প্রেসক্লাবের উন্নয়নে মতামত প্রদান করেন।

নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রিপন বলেন, প্রেসক্লাবের স্বার্থে আমাকে যে দ্বায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে আপনাদের সাথে নিয়ে প্রেসক্লাবের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব। তিনি সকল সদস্যের সহযোগিতা কামনা করেন।

Print this entry

 

বরিশাল: বরিশাল নগরীতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৬ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটনের স্টীমারঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মো. নাসিম হোসেন। এরআগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রাজ্জাক স্মৃতি কলোনীতে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।

আটককৃতরা হলো- নগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রাজ্জাক স্মৃতি কলোনীর বাসিন্দা ও মাদক কারবারি মো. মানিক মাতুব্বর (৩৫), মো. রুবেল (৩৩), নগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গগন গলি এলাকার মো. আল আমিন বেপারী (৩২), ১১ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদমারি স্টেডিয়াম কলোনীর বাসিন্দা মো. শাহাদাত হোসেন বাপ্পি(৩২), বুলু রাকিব (৩৪) ও বন্দর থানাধীন নেহালগঞ্জ এলাকার মো. ইয়ামিন ফরাজী (৩০)।

স্টীমারঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মো. নাসিম হোসেন জানান, আটকের সময় সকলের জিম্মা থেকে মোট দেড়শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। যে ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আটককৃতদের সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Print this entry

 

বরিশাল:  তিন শিক্ষককে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে আজীবনের জন্য বিরত রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কলেজের অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম। গত ৬ মে আমাদের আন্দোলনে বহিরাগতদের এনে হামলা চালানো হয়। আমরা হামলাকারী ও তাদের মদদদাতা কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু ঘটনার দীর্ঘ চার মাস হলেও কার্যকরের ব্যবস্থা নেয়নি। শিক্ষক আলী আজগর, সাইদ হোসাইন রনি ও ফরিদা বেগম এখনো স্বপদে বহাল আছেন।

তারা বলেন, বর্তমানে আমরা বরিশাল নার্সিং কলেজ, বরিশালের সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত কল্পে অভিযুক্ত তিন শিক্ষক আলী আসগর, ফরিদা বেগম এবং সাইব হোসাইন রনিকে বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের সব ধরনের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে আজীবনের জন্য বিরত রাখার দাবি জানিয়েছি। পাশাপাশি অন্য তিন শিক্ষক জাকির হোসেন, হাসিনা বেগম এবং আনোয়ারা-কে ক্লাস রুটিনে রাখলেও তাদের শিডিউলে বিকল্প অন্য শিক্ষককে ও রুটিনে রাখতে হবে।

এদিকে শিক্ষার্থী শাকিল জানান, শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) নার্সিং কলেজের মেয়েদের পুরাতন হোস্টেলের ছাদের অংশবিশেষ ভেঙে পড়ে। এতে একজন ছাত্রী গুরুতর আহত হয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। কিন্তু হোস্টেলের এ দুরবস্থা ইতোপূর্বে কলেজ প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। সেজন্য নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং হোস্টেলের সার্বিক সংস্কার এবং অভিযুক্ত শিক্ষকদের ক্লাস রুটিন থেকে অপসারণের দাবিতে আজ সকাল থেকে বরিশাল নার্সিং কলেজের অ্যাকাডেমিক ভবন তালাবদ্ধ করে বিক্ষোভ করা হয়। যদিও পরবর্তীতে প্রশাসনের অনুরোধে গেট খুলে দেওয়া হয়।

তিনি জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকদের ক্লাস রুটিন থেকে অপসারণ ব্যতীত আরও বেশ কিছু দাবির কথা শিক্ষার্থীরা তুলে ধরেছে। সেগুলো- ‎হোস্টেলের মেইন গেটে সার্বক্ষণিক বাধ্যতামূলক একজন দারোয়ান রাখা এবং রেজিস্টার খাতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যাওয়া-আসা নিয়ন্ত্রণ করা। উল্লেখ্য যে, রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পকেটগেট খোলা রাখা।

‎শিক্ষার্থীদের অবিভাবকদের জন্য ওয়েটিং রুমের ব্যবস্থা করা; কলেজের সাতটি ইয়ারের জন্য ন্যূনতম ১৪টি রেফ্রিজারেটরের ব্যবস্থা করা; হোস্টেলের বৈদ্যুতিক লাইনসহ যাবতীয় বৈদ্যুতিক ত্রুটি অতিসত্বর মেরামত করা এবং এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের থেকে কোনো ধরনের চাঁদা আদায় না করা; উভয় হোস্টেলের প্রতি রুমের দরজা, জানালা, লাইট, ফ্যানসহ সব নষ্ট জিনিসপত্র অনতিবিলম্বে ঠিক করা; বেসরকারি বাবুর্চিদের বেতন এবং মেসের প্রতি মাসের গ্যাসের বিল কলেজ কর্তৃপক্ষের বহন করা; হোস্টেলে অতিসত্বর ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করা; প্রতি মাসে হোস্টেলের প্রত্যেকটি পানির ট্যাঙ্কি পরিষ্কার করা এবং বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য ফিল্টারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। ‎

‎শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের সব দাবি কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া বিনাশর্তে দ্রুত মেনে নিতে হবে, না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।

Print this entry

 

অনলাইন ডেক্স:  চাকরি বৈষম্য দূরীকরণ ও হয়রানিমূলক পদক্ষেপ বন্ধসহ চার দফা দাবিতে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য গণছুটিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সহ-দপ্তর সম্পাদক অঞ্জু রানী মালাকার।

তিনি অভিযোগ করেন, একাধিকবার কমিটি গঠনসহ সংকট সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখী আশ্বাসের পরও কিছুই বাস্তবায়ন করেনি বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। উপরন্তু আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের চাকরিচ্যুতি, বদলিসহ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ফলে তাদের চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও বরখাস্ত করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরখাস্তাদেশ বাতিল এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তারা। তাদের চার দফা দাবিগুলো—

* আরইবি-পিবিএস একীভূতকরণ অথবা অন্যান্য বিতরণ সংস্থার ন্যায় কম্পানি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং সব চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত (মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক ও পৌষ্য বিলিং সহকারী) কর্মীদের নিয়মিতকরণ, মামলা প্রত্যাহার করে চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল, সব সংযুক্ত ও সাময়িক বরখাস্ত করা এবং অন্যায়ভাবে বদলি করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়ন বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল করে বাস্তবায়নের করতে হবে।

* ১৭ আগস্ট থেকে অদ্যাবধি হয়রানিমূলকভাবে চাকরিচ্যুত, বরখাস্ত করা ও সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরখাস্ত আদেশ বাতিল করে আগের কর্মস্থলে পদায়ন করতে হবে।

* জরুরি সেবায় নিয়োজিত লাইনক্রুদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিকালীন যোগদান করতে না পারা পাঁচজন লাইনক্রুকে আগের কর্মস্থলে যোগদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

* পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।

Print this entry

 

অনলাইন ডেক্স: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল সদরসহ সংসদীয় দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। এর মধ্যে বরিশাল সদর-৫ আসনে (সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলা) বাসদ বরিশাল জেলা সমন্বয়ক ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী এবং বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে তরিকুল ইসলাম তারেকের নাম ঘোষণা করা হয়।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বরিশাল নগরের ফকিরবাড়ি রোডে বাসদ বরিশাল জেলা কার্যালয়ে এক কর্মী সভায় প্রার্থী হিসেবে দুজনের নাম ঘোষণা করেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ। কর্মী সভায় সভাপতিত্ব করেন বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সমন্বয়ক ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী।

কর্মীসভায় বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, আর পি ও সংশোধনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা, প্রার্থীর ব্যয় সীমা ৫০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৭৮ লাখ টাকা করা- এগুলি সবকিছুই ধনিক শ্রেণীর হাতে নির্বাচনকে সঁপে দিয়ে সংসদকে কোটিপতিদের ক্লাবে পরিণত করার চক্রান্ত ছাড়া কিছুই নয়। ফিরোজ অবিলম্বে এই আর পি ও সংশোধনী বাতিলের দাবি জানান।

একইসঙ্গে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মানুষের প্রত্যাশা ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজের পথে আমরা এগিয়ে যাব, একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কিন্তু আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করছি প্রতিনিয়ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে, মব ভায়োলেন্স অবাধে চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরা পাগলার মাজারে হামলা করে লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলা, রাজশাহীর আজিজ ভান্ডারীর দরবারে হামলা, এমনকি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অফিসে হামলার ঘটনা হয়েই যাচ্ছে কিন্তু সরকার এগুলি থামাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হচ্ছে। এই মব সন্ত্রাসের দায় সরকারকেই নিতে হবে। মব সন্ত্রাস থামাতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে কিন্তু ন্যায্যদাবির গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিপীড়ন নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে আন্দোলনে গুলি করে শ্রমিক হত্যা করা হয়েছে। আমরা মনে করি এর কোনোটিই একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতিফলন হতে পারে না। ফিরোজ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধ করার দাবি জানান এবং মব সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের দাবি জানান।

Print this entry

 

বরিশালঃ  S@iful’s kitchen skill chef’s training institute এর প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কোর্স শেষ হওয়া উপলক্ষে সার্টিফিকেট প্রধান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাল্টি কুইজিন শেফ কোর্স। এই কোর্সটির সময় ছিলো ১ মাস। সপ্তাহে ২টি করে মোট ১০টি ক্লাস হয়। কোর্সটিতে ৫০ টির বেশি আইটেম শেখানো হয়। কুকিং ও বেকিং এর সমন্বয়ে এই মাল্টি কুইজিন শেফ কোর্সটি সাজানো হয়েছিলো।

প্রথম ব্যাচটিতে যারা কোর্স করিয়েছেন, তারা হলো মো: সাইদুর রহমান, মো: এইচ এম মিরাজ, মো: আল-আমিন হোসেন জনি, মিরা দাস, রুবাইয়া আক্তার, সুরাইয়া ইসলাম, তামান্না ফেরদৌসিয়া, হুমায়রা বিনতে মুজিব, সানজিদা আক্তার নিপু ও বুলা দাস।

কোর্সের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো: সাইফুল গনি এবং সহকারী পরিচালক ছিলেন মো: নাইমুল হাসান। শেফ (বেকিং সেকশন) পরিচালনা করেন S@iful’s kitchen – skill chef’s training institute. BTEB & NSDA এর সার্টিফাইড ট্রেইনার & অ্যাসেসর বুলা রানি দাস।

শেফ (কুকিং সেকশন) ছিলেন S@iful’s kitchen – skill chef’s training institute. রূপচাঁদ শেফ ২০১০, ২০১৪,২০১৬ সালের ১ম স্থান বিজয়ী মরিয়ম আক্তার সোমা। পরে ১০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

Print this entry

 

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ সমুদ্র যাত্রায় প্রস্তত ট্রলারে পৌছাতে দেরী করায় ট্রলার মালিক পক্ষের মারধরে হেলাল হাওলাদার (২৪) নামের এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। এসময়

সাদ্দাম আকন (১৮) ও আসাদুল(২২) নামের আরও দুই জেলেকে মারধর করা হয়। শুক্রবার দুপুরে ওই জেলেকে উদ্ধার কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। মৃত হেলাল মঠবাড়িয়া এলাকার তুষখালী গ্রামের হারুন হাওলাদারের ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত দশটায় আলীপুর মৎস্য অবতরন কেন্দ্রের আল-আমিন আড়তে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

নিহত জেলের স্বজন ও আহত জেলেরা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে সাগরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয় মন্টু ফরাজীর মালিকানাধীন ট্রলার। কিন্তু মঠবাড়িয়া থেকে ওই তিন জেলে আলীপুর মৎস্য অবতরন কেন্দ্রে আসতে অনেক দেরি করেন। রাত নয়টার পর তারা এসে পৌছালে দেরির করার অজুহাতে তাদের মন্টু ফরাজীর নেতৃত্বে বেধড়ক মারধর করেন মালিক পক্ষের তিন ব্যক্তি। পরে মাছধরার উদ্দেশ্যে তাদের সাগরে পাঠালে সেখান বসে ওই তিন জেলের অবস্থার অবনিত হয়। দুপুরে তাদের সাগর থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক হেলালকে মৃত ঘোষনা করেন।

মহিপুর থানার ওসি মাহমুদ হাসান বলেন, ময়না তদন্তের জন্য লাশ পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Print this entry

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিরল প্রজাতির গুরুতর আহত একটি সজারু উদ্ধার করেছে এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর কলাপাড়া শাখার সদস্যরা। এটির দৈর্ঘ্য দুই ফুট ও ওজন ৭ কেজি।

বৃহস্পতিবার(০৪ সেপ্টেম্বর) রাত দশটায় উপজেলার চাকামাইয়া ইউনিয়নের বেতমোর গ্রাম থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক এ সজারুটি উদ্ধার করা হয়।

এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর কলাপাড়া শাখার সদস্যরা জানায়, স্থানীয়রা সজারুটিকে আটক করে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সজারুটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। সজারুটি পরিপূর্ণ সুস্থ হলে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবমুক্তের কথা জানান তারা।

কলাপাড়ার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসিন সাদীক বলেন, বিপদগ্রস্থ বন্যপ্রানী উদ্ধারে এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীকে সব সময় সহযোগিতা করা হচ্ছে। সজারুটিকে চিকিৎসা শেষে উন্মুক্ত বনে অবমুক্ত করা হবে। বন্যপ্রানী নিধনকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

Print this entry

 

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে সম্প্রতি দুটি ট্রলার ডুবিতে ক্ষতিগ্রস্ত ২৪ জেলে পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় এবং কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (৪সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াই টায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় হতে এ সহায়তা প্রদান করা হয়। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোকছেদুল আলম, উপজেলা সহকারী পরিচালক (সিপিপি)মো.আসাদুজ্জামান খান এবং উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা স্বপন কুমার।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট এবং ২৬ আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি তারিখে পরপর ২টি ট্রলার ডুবিতে মোট ২৪ জন জেলে নিয়ে গভীর সমুদ্রে পতিত হয়। এর মধ্যে ১৯ জন মৃত্যুমুখে পতিত হয়ে বেচে ফিরে আসেন। ৪ জনের মৃত্যু হয় এবং এখনো ১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মৃত. ইদ্রিস মাঝির স্ত্রী পারভীন বলেন, এ চাল পেয়ে হয়ত কয়েকদিন সংসার চলবে। পরে কিভাবে কি করবে জানিনা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মোকছেদুল আলম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এসব জেলেরা চিকিৎসা সহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয়ায় এই কার্যক্রমে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২৪ জনকে ৩০ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের পরিবারের জন্য এ ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে ও তিনি জানান।

Print this entry