 
	                            						বরিশাল: বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের গেট তালাবদ্ধ থাকায় এবং বেদিতে কাঠ শুকানোর ঘটনা দেখে তীব্র ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে সংগঠনটির ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সেখান থেকে একটি র্যালি বের হয়ে নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। তবে শহীদ মিনারে গিয়ে নেতাকর্মীরা দেখতে পান প্রধান ফটক তালাবদ্ধ। এসময় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা গেট খুলতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং দেখতে পান, শহীদ মিনারের চারপাশ কাঠ শুকানোর জন্য অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় সংগঠনের পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বলা হয়, শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে গিয়ে এমন অবস্থার সম্মুখীন হওয়া লজ্জাজনক।
গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলার সমন্বয়কারী দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, গত ৫-৬ মাস ধরে শহীদ মিনারের সব গেট সর্বক্ষণ বন্ধ রাখা হয়। এটি নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ।

তিনি আরও বলেন, গত ২৩ বছরে গণসংহতি আন্দোলন সব সময় জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে পাশে থেকেছে। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের ঐক্যই কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র বিনির্মাণের একমাত্র শক্তি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাকিবুল ইসলাম শাফিন, নির্বাহী সমন্বয়কারী আরিফুর রহমান মিরাজ, সহ-নির্বাহী সমন্বয়কারী রুবিনা ইয়াসমিন, অর্থ সম্পাদক ইয়াসমিন সুলতানা, সদস্য রাশেদুল ইসলাম, বাংলাদেশ যুব ফেডারেশনের সংগঠক মারুফ আহমেদ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলার সাধারণ সম্পাদক রাইদুল ইসলাম সাকিবসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
সভাপতির বক্তব্যে দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু আরও বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। কিন্তু গত ৫৪ বছরেও সে অঙ্গীকার পূরণ হয়নি। বিশেষ করে গত ১৭ বছরে দেশে যে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা জনগণের অধিকারকে ধ্বংস করেছে। এই ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এখন দরকার নতুন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বন্দোবস্ত।
তিনি খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষাসহ মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বরিশালবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। এদিকে শহীদ মিনারের গেট তালাবদ্ধ থাকা ও কাঠ শুকানোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বরিশাল সিটি করপোরেশনের নিরাপত্তাকর্মীরা।
 
        

 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                        

 
                            
 
                                     
                                    