TT Ads
Spread the love

 

রবিউল ইসলাম রবি ॥ প্রতিপক্ষের দায়েরকৃত হত্যা মামলায় স্বামী সহ দুই সন্তান জেলহাজতে থাকা অবস্থায় নিজ বসতঘরে মৃত্যুবরণ করেন বরিশাল মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বোয়ালিয়া গ্রামের বেপারী বাড়ির রেশমা বেগম। এ মৃত্যুর ঘটনায় মুলাদী থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়। জেল থেকে মরহুমার স্বামী আবদুল লতিফ জামিনে বেড়িয়ে স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বরিশাল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুলাদী আমলী আদালতে নামধারি ১০ জনকে আসামি করে এ হত্যা মামলা নং (সি আর ৩৬৫/২৫ মুলাদী) দায়ের করা হয়। আদালতের বিচারক মামলা আমলে নিয়ে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে অপমৃত্যুর মামলার নথিপত্র তলব এর নির্দেশ দিয়ে পরবর্তীতে আগামী ২৪/০৯/২০২৫ তারিখ শুনানির দিন ধার্য করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসের।

দায়েরকৃত মামলার আসামিরা হলেন- পশ্চিম বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত ক্বারী মোসলেম আকনের দুই ছেলে আবু হানিফ আকন (৫০) ও মোঃ ইমরান আকন (৩৫), মোঃ ইমরান আকনের স্ত্রী মোসাঃ তানিয়া (২৭), গয়েজ উদ্দিন সরদারের ছেলে মোশারেফ সরদার (৫৮), মৃত মোসলেম সিকদারের ছেলে মন্টু সিকদার (৫৫), রাজ্জাক বেপারীর ছেলে মিজান বেপারী (৪০), নদাই বেপারীর ছেলে শাহে আলম বেপারী (৫৯), মৃত ফরিদ উদ্দিন হাং এর ছেলে মুরাদ হাং (৫০), মৃত হোসেন বেপারীর ছেলে কালাম বেপারী (৬৫) ও কালাম বেপারীর ছেলে সাইফুল বেপারী (৩৫) সহ অজ্ঞাত আরো আসামি থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়।

এজাহারের বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে, আসামিদের সাথে আমাদের জমি-জমাসহ নিয়ে বিরোধ চলমান রয়েছে। দায়েরকৃত মামলার ৬ নং সাক্ষী শাহিনা বেগমের স্বামী জাকির হোসেনের মৃত্যুর কারণে আমাদেরকে অর্থাৎ আমি (বাদী) ও আমার স্ত্রী মৃত রেশমা বেগম সহ দুই ছেলে সুমন ও সোবহানকে আসামি করে মৃত জাকির হোসেনের ভাই মো. ইমরান আকনের স্ত্রী মোসা: তানিয়া বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আমরা সব আসামি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পাই। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হলে আদালতের বিচারক আমার স্ত্রী রেশমা বেগমের জামিন মঞ্জুর করলেও আমি (বাদী) ও আমার দুই ছেলের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে রেশমা বেগম বাড়িতে যায়। আসামীরা তার কাছে টাকা দাবি করে এবং বিভিন্নভাবে খারাপ আচরণ করে এবং হত্যার হুমকি দেয়।

এরই ধারাবাহিকতায় আসামীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রেশমাকে গত ৩০/০৮/২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ১২ টা থেকে ৩১/০৮/২০২৫ তারিখ সকাল ৬ টার মধ্যে হত্যার পর প্রমাণ নষ্ট করার জন্য হত্যার ধরণ ঘুরিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়া দেওয়ার চেষ্টা করে। জেলে বসে রেশমার মৃত্যুর খবর জানতে পারে আমি (বাদী) ও আমার দুই ছেলে।

আদালত থেকে আমরা গত ৩১/০৮/২৫ তারিখে জামিন মুক্তি পেয়ে বাড়িতে গিয়ে ঘটনা জেনে আমি (বাদী) থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। থানা পুলিশ জানায়, রেশমার মৃত্যুতে থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।

Print this entry

TT Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *