 
	                            						
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এক নবজাতকের বাম পা ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ডা. পার্থ সমদ্দার নামের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই শিশুর স্বজনদের লাঞ্চিত করে ক্লিনিক থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে রাতেই শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই শিশুর স্বজনদের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার প্রসব বেদনা নিয়ে লালুয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে ও রফিকুলের স্ত্রী মিম বেগম পৌর শহরের জমজম ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন।
পরে ওই রাতেই মিমের সিজার করেন ওই ক্লিনিকের চেয়ারম্যান ডা. পার্থ সমদ্দার। সিজারের কিছুক্ষন পরই টিকার কথা বলে নবজাতকের পায়ে একটি ইনজেকশন পুশ করা হয়।
পরের দিন থেকেই নবজাতকের বাম পা ফোলা শুরু করে এবং কান্নাকাটি বাড়তে থাকে। বিষয়টি চিকিৎসককে অবহিত করলে তারা কর্নপাত না করে উল্টো ওই ক্লিনিকের স্টাফ ও নার্সরা নবজাতের স্বজনদের সঙ্গে অসাদাচারনের পাশাপাশি তাদের ক্লিনিক থেকে বের করে দেন। পরে অন্যত্র এক্সরে করে জানতে পারেন সিজারের সময় নবাজতকের পা ভেঙ্গে ফেলেছেন ওই চিকিৎসক।
তবে সিজারের সময় পা ভাঙ্গার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ডা. পার্থ সমদ্দার।
নবজাতকের মা মিম বলেন, সমস্যা দেখে ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার বলেন আপনাদের কোন গ্যাঞ্জাম করার দরকার নাই, বাচ্চাকে নিয়ে বরিশাল চলে যান। কিন্তু আমাদের কাছে তো সেই রকম টাকা পয়সা নাই আমরা কিভাবে চিকিৎসা করব।
নবজাতকের নানী তাসলিমা বলেন, সকালে বাচ্চার মা আমাকে দেখালে আমি নার্সদের কাছে যাই। তারা বলে আপনার নাতির পা ভেঙে গেছে। আমি ডাকাডাকি করলে তারা বলে ডাকাডাকি করেন না তাই হসপিটালের দুর্নাম হবে। আমরা এখানে এক্সরে করতে চাইলে ডাক্তার বলেন, এখানে হবে না বরিশাল চলে যান।
জমজম ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান, ডা. পার্থ সমদ্দার বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। তার পায়ের ব্যথা ঔষধের রিঅ্যাকশন সহ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেহেতু আমি শিশু বিশেষজ্ঞ নই তাই তাদের শিশু বিশেষজ্ঞের অধীনে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
 
        

 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                        

 
                            
 
                                     
                                    