TT Ads
Spread the love

মোয়াজ্জেম হোসেন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বৌদ্ধ বিহারগুলোতে উদযাপিত হয়েছে প্রবারনা উৎসব। সোমবার (৬ আগস্ট) রাত আটটায় কলাপাড়ার নতুনপাড়া বৌদ্ধ বিহারে ফানুস উড়ানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। এছাড়া কুয়াকাটার রাখাইনপাড়া, মহিপুরের কালাচানপাড়া, আমখোলাপাড়া, মিস্রিপাড়া ও নয়াপাড়াসহ জেলার ৩১ টি রাখাইন পল্লীতে শত শত ফানুস উড়িয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি করা হয়।

এসময় আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন রাখাইন নর-নারীরা। এর আগে গৌতম বুদ্ধকে স্মরনে হাজারো প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। উৎসবকে ঘিরে বৌদ্ধবিহার গুলো সজ্জিত করা হয় বর্নিল আলোকসজ্জায়। এ উৎসবে অংশ নেয় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদীক সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এর আগে সকালে বুদ্ধপূজা ও পঞ্চশীল প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটির শুভ সূচনা করা হয়।

এসময় কলাপাড়া, কুয়াকাটার বৌদ্ধ বিহার গুলোতে সমাবেশ ঘটে বৌদ্ধভিক্ষুসহ রাখাইন নর-নারীদের। পরে তারা বুদ্ধকে ফুল, বাতি ও অন্যান্য সামগ্রী নিবেদন করেন। দিনভর নানা ধর্মীয় আচার আনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ উৎসব চলে। এ উৎসব উপলক্ষে জেলার রাখাইন পাড়া গুলোতে বিরাজ করে এক উৎসব মুখর পরিবেশ।

কুয়াকাটা রাখাইনপাড়ার মং মিয়া বলেন, আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরনে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা পালন করছে অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্নিমা। সারাদিন প্রার্থনা, আনন্দ উপভোগ এবং নানান ধরনের খাবার গ্রহণ করে অনুষ্ঠান উপভোগ করেছি।

কুয়াকাটা মিশ্রি পাড়া বৈদ্ধ মন্দিরের অধ্যক্ষ উত্তম মহাথেরা বলেন, আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভের পর আষাঢ়ী পূর্নিমা থেকে আশ্বিনী তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস পালন শেষে প্রবারণা উৎসব পালিত হয়। প্রবারণা পূর্নিমার পরদিন থেকে এক মাস প্রতিটি বৌদ্ধবিহারে শুরু হয় কঠিন চীবরদান উৎসব।

Print this entry

TT Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *