TT Ads
Spread the love

 

বরিশালঃ বরিশালে অন্তঃসত্ত্বা
গৃহবধূ লামিয়া আক্তার বর্ষা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টায় নগরীর টাউন হলের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শুরুর স্থানে (অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে) এসে শেষ হয়।

শ্বশুর বাড়িতে যৌতুকের কারণে হত্যার শিকার হয় লামিয়া আক্তার বর্ষী। ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নববধূ বর্ষার ৫ মাস আগে বিয়ে হয়। বর্ষার পরিবারের ধারণা যৌতুকের দাবিতে দীর্ঘদিনের নির্যাতনের পর তাকে তার স্বামী সিয়াম ও তার পরিবারের অন্যান্যরা মিলে হত্যা করেছে।

এ হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকাবাসীর আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শুভংকর চক্রবর্তী, শিক্ষিকা সোনালী কর্মকার, রাজনীতিক নারী নেত্রী মনীষা চক্রবর্তী, শিশু সংগঠক জাহিদ হাসান দীপু, লামিয়া আক্তার বর্ষার পিতা মোঃ শানু মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে বরিশালের সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে নারী নির্যাতন-হত্যা বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সক্রিয় হাওয়ারও আহবান জানানো হয়।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৯ অক্টোবর রাতে বরিশাল নগরীর আল মাদানী সড়ক এলাকায় বাসিন্দা ও বরিশাল কলেজের শিক্ষার্থী লামিয়া আক্তার বর্ষা (২২) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা করার পর তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। লামিয়ার বাবা জানান, বর্ষা ও সিয়াম প্রেম করে নিজেদের ইচ্ছায় বিয়ে করেন। বিয়ের পর পরিবারে অশান্তি চলছিল। ঘটনার দিন বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, বর্ষার নিথর দেহ খাটের ওপরে পড়ে রয়েছে। তিনি পৌঁছানোর আগেই ওই বাসার লোকজন পালিয়ে যান। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লামিয়াকে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লামিয়ার গলায় মোবাইল চার্জারের তার প্যাঁচানোর দাগ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন তাঁর বাবা।

Print this entry

TT Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *