TT Ads
Spread the love

সস্তায় মোবাইল কিনতে গিয়ে বিপাকে এক বাংলাদেশি ব্যক্তি। আপাতত কলকাতা পুলিশের হেফাজতে ওই বাংলাদেশি। জানা গেছে, ওএলএক্স-এ বিজ্ঞাপন দেখে কম দামে দুইটি মোবাইল ফোন কিনেছিলেন মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান নামে বাংলাদেশের রাজশাহীর এক ব্যক্তি।

 

সম্প্রতি চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনের তদন্তে নেমে কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তারা নিউমার্কেট এলাকা থেকে মাহমুদুল হাসান নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেপ্তার করে।

কিন্তু কিভাবে এই ঘটনায় জড়িয়ে পড়লেন ওই বাংলাদেশি? ঘটনার সূত্রপাত ১ জুলাই। বিবাহ সম্পর্কিত সাইট ‘বেঙ্গলি ম্যাট্রিমনি’তে পরিচয় হয় জিয়া সিং ওরফ রমা কুমারীর সাথে সুদীপ বোস নামে এক ব্যক্তির। দুইজনের মধ্যে সরাসরি সাক্ষাতের সময় চেয়ে কলকাতা বিমানবন্দরের আড়াই নম্বরের সামনে একটি গেস্ট হাউসে ওঠেন সুদীপ ও রমা কুমারী। অভিযোগ, সেখানেই সুদীপ বোসকে চায়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাইয়ে অজ্ঞান করে মোবাইল ফোন, রুপি লুট করে চম্পট দেয় রমা কুমারী।

 

পরবর্তীতে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় শুক্রবার অভিযুক্ত রমা কুমারীকে গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দর থানার পুলিশ।  তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন বিক্রি করা হয় বাংলাদেশের রাজশাহীর বাসিন্দা মাহমুদুল হাসানকে। এর পরেই তদন্তে নেমে তদন্তকারী কর্মকর্তারা পার্ক স্ট্রিট থানার অন্তর্গত মারকুইস স্ট্রিটের একটি গেস্ট হাউস থেকে মাহমুদুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে।

 

মাহমুদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের হাতে। তারা জানতে পারে, কলকাতা শহরতলী থেকে চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন বাংলাদেশে পাচার হয়ে যেত এবং সেই মোবাইল ফোন বিক্রি হতো বাংলাদেশে।

 

শনিবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশের নাগরিক মাহমুদুল হাসানকে এবং ভারতীয় নাগরিক রমা কুমারী উভয়কেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। আজ দুপুরে তাদের স্থানীয় আদালতে তোলা হবে।

এদিন সকালে বিমানবন্দর থানায় বাংলাদেশের রাজশাহীর বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান জানান, “আমি চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এসেছিলাম। আমি দুটো মোবাইল ফোন কিনেছিলাম। কিন্তু জানতাম না এগুলো চুরি যাওয়া মোবাইল। আমি পুরোনো মোবাইল কিনেছিলাম। কিন্তু এর পিছনে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। নিজের ব্যবহারের জন্যই আমি এই ফোনগুলো কিনেছিলাম। তাছাড়া একটার বেশি মোবাইল ফোন নিয়েও যাওয়া যায় না।”

মাহমুদুল হাসানের দাবি, আরেক অভিযুক্ত রমা কুমারীর সঙ্গে তার ব্যক্তিগত কোনো পরিচয় নেই বা তাকে তিনি চিনতেন না। পণ্য কেনা বেচার সাইট ‘ওএলএক্স’ থেকেই ওই ভারতীয় মহিলার সাথে তার পরিচয়।

 

এদিকে এয়ারপোর্ট থানার কাছেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গঙ্গানাগরের বাসিন্দা রমা কুমারী নামে ওই নারী স্বীকার করেছেন যে, বিমানবন্দরের পাশে ওই গেস্ট হাউসে সুদীপ রায় নামে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে কেবলমাত্র মোবাইল ফোন আর অর্থ চিনিয়ে নিয়েছেন।  যদিও তার দাবি, “আমি একবারই ভুল করেছি। এর আগে কখনোই আমি এই কাজ করিনি।”

অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির বয়ানের সত্যতা যাচাই করে দেখছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তাদের উভয়কেই জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে চাইছে এই চক্র কতদিন ধরে সক্রিয়, কোথায় কোথায় মোবাইল বিক্রি করা হয়েছে এবং সেই মোবাইল কোনো অপরাধমূলক কাজকর্মে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা। যদিও তদন্তের স্বার্থে পুলিশ কোনো কিছুই বলতে চায়নি।

Print this entry

TT Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *